সুস্থ সবল গাছ পেতে চাইলে সুস্থ সবল চারার কোন বিকল্প নেই
"সুস্থ সবল গাছ পেতে চাইলে সুস্থ সবল চারার কোন বিকল্প নেই"
এজন্য সঠিক পদ্ধতিতে চারা করা খুবই জরুরি। অনেকেই অনেক ভাবে আঙ্গুরের কাটিং থেকে চারা তৈরী করে থাকেন। আমি নিজেও গতবছর পরীক্ষামূলক ৩ ধরণের পদ্ধতিতে চারা করছি। নতুনদের জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিটা সম্পর্কে আপনাদেরকে কিছুটা ধারনা দিতে চাই....
👉সবচেয়ে প্রথমে গাছের ডাল কেটে যে কাজটি করতে হবে- তা হচ্ছে শোধন। এজন্য ১ লিটার পানিতে ৫ মিলি হাইড্রোজেন পার অক্সাইড মিশিয়ে সেই পানিতে কাটিংগুলোকে অন্তত ২ থেকে ৬ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
মাটি তৈরীঃ- ৬০% মাটি, ২০% বালি, ১৫% ভার্মি কম্পোস্ট এবং ৫% কোকোপিট দিয়ে মাটি তৈরী করতে হবে। মাটির আদ্রতা হবে স্বাভাবিক। বেশি ভেজা মাটিতে কাটিংয়ের শিকর আসলেও পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর সাথে ( ১০০ চারার জন্য ) ৫ গ্রাম ছত্রাক নাশক, ২ গ্রাম কার্বোফুরান মিশিয়ে নিলেই মাটি তৈরী হয়ে গেল।
শুধু মাত্র বালিতেও চারা হয়, তবে কুশি আসার পর খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। ছোট্ট কচি পাতায় স্প্রে করে খাবার দিতে গেলে পাতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই চারা করার সময় সামান্য ভার্মি কম্পোস্ট দেয়া জরুরি- তবে ভূল করে ট্রাইকো কম্পোস্ট দিবেন না। আর কোমলমতি চারা গাছের নরম শিকড়ের জন্য মাটি সফট্ হওয়া জরুরি, তাই কোকোপিট ব্যাবহার করাও জরুরি।
হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের পানি থেকে তুলে ছায়ায় রেখে কাটিংগুলো হালকা শুকিয়ে ছত্রাক নাশক + রুট হরমোন দিয়ে ছিদ্রযুক্ত ছোট পলিব্যাগে, অথবা ১৮০ মিলির কাপে আগেই রেডি করে রাখা নরমাল আদ্রতাযুক্ত মাটিভরে কাটিংগুলো লাগিয়ে দিতে হবে।
লাগানোর সময় কাটিং সামান্য কাত করে লাগানো ভাল। ( সম্ভব হলে পটিংয়ের আগে কাটিংগুলো গ্রাফটিং টেপ দিয়ে মুড়িয়ে দিবেন অথবা পটিংয়ের ঠিক ১ দিন পর কাটিংয়ের মাথায় ১ ফোটা রং/এনামেল পেইন্ট লাগিয়ে দিবেন। )
এরপর পুনরায় ছত্রাক নাশক স্প্রে করে সবগুলো পলিব্যাগ/কাপ একটি বড় পলি কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে, অথবা গ্রীন হাউজ করে দিতে হবে। মাটি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই হালকা করে পানি স্প্রে করতে হবে এবং ৫/৭ দিন পর পর ছত্রাক নাশক স্প্রে করে দিতে হবে।
আশা করি ২/৬ সপ্তাহের মধ্যে আপনার কাটিংয়ে কুশি এবং শিকড় চলে আসবে। কুশি গজিয়ে উঠার ১ থেকে দের মাস পর এগুলো টবে/মাটিতে রোপন করার উপযোগী হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ ।
No comments